This Site Is All About Science And Others

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

Post Page Advertisement [Top]

কোন পথে হাটছে চীন-ভারত ?

কোন পথে হাটছে চীন-ভারত ?


"আমাদের পরাশক্তি হতে হবে " ভারতের এই চিন্তা নতুন নয়। বরং তাদের এই বাসনা অনেক পুরোনো। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়ে ধরা দেওয়ার কোন লক্ষন আজও নেই।তবে শুধু ভারত নয় আরেকজন ও আছেন যার পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন সুদুরপ্রসারি। সে দেশ হলো চীন। কিন্তু ভারত ও চীনের লক্ষ্য এক হলেও সে পথে চলার গতি ও নীতি দুটোই ভিন্ন। গত কয়েকমাস ধরে সীমান্ত নিয়ে চীন ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ।সীমান্তে সংঘাতে ভারতের ২০ জন সেনা ও মারা যান।চীনের হতাহত ঠিক কত তা সঠিক ভাবে জানা না গেলে ও তা যে ভারত থেকে খারাপ নয় তা স্পষ্ট। কিন্তু কেন এ সংঘাত। আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে দেশ ভুখন্ড রক্ষার লড়াই।কিন্তু ভিতরে আছে জটিল সমীকরণ আর লালিত অনেক স্বপ্ন পূরনের বাসনা।চীন চায় ভারত যেন তাদের আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে মেনে নেয়। কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ব্যাতিত আর কেউ চীনকে মোকাবিলার স্বপ্ন দেখতে পারে না।ভারত ও হয়ত দেখত না। কিন্তু তাদের যে পরাশক্তি হওয়ার নেশা জেগেছে তার কি হবে। ভারত এখানে যে ভুলটা করছে তা হলো চীনকে তাদের সমমানের ভাবা আর প্রভাব বিস্তারে এ অঞ্চলে চীনকে চ্যালেঞ্জ করা। কিন্তু চীন যে সক্ষমতা নিয়ে মাঠে নেমেছে তার ধারে কাছেও নেই ভারত।সামরিক দিক দিয়ে একটি উদাহরণ দেই।ভারত যেখানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্র আমদানিকারক দেশ সেখানে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্র রপ্তানি কারক দেশ।বিশ্বের বড় ১০ টি অস্র নির্মাতা কোম্পানির ৩ টি ই চীনের। এখন পরাশক্তি হওয়ার জন্য যে বিপুল সামরিক সক্ষমতা ভারতের দরকার তা কিভাবে মিটবে।উত্তর আসতে পারে ভারত অস্র কিনবে। কিন্তু যে পরিমাণ সক্ষমতা প্রয়োজন তার ১০ শতাংশ অস্র ও কিনতে পারবে না ভারত। কারণ তাদের সামরিক বাজেটে তা সম্ভব ই না। আবার সামরিক ব্যায় বেড়ে গেলে অর্থনীতি যে ধসে পড়বে তা তারা জানে। কিন্তু তারপর ও দারিদ্র আর স্বপ্নকে ঘুলিয়ে ফেলছেন ভারতীয় নেতৃত্ব। তারা সে জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশ্র‍য় নিচ্ছে।ট্রাম্প ও হয়ত আগ্রহী কারণ ভারত সফরে তিনি মোদিকে আশ্বস্ত করেছেন বন্ধু হিসেবে।কিন্তু ভারত হয়ত ভুলে যাচ্ছে এক পরাশক্তির ছায়ায় থেকে নতুন পরাশক্তি হিসেবে আত্নপ্রকাশ করা যায় না। বিপরীতে চীন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আগে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আজ তারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তি। তাদের অর্থ যেমন আছে তেমন আছে বিপুল সামরিক সক্ষমতা। আছে সব ধরনের উন্নত প্রযুক্তির নিজস্ব সংস্করণ। যা ভারতের নেই।যেমন মাত্র তৃতীয় দেশ হিসেবে ১ সপ্তাহ আগে চীন নিজস্ব গ্লোবাল নেভিগেশন সিস্টেম মহাকাশে পাঠিয়েছে। এতে তাদের আর আমেরিকা বা রাশিয়ার উপর নির্ভর করতে হবে না যেকোনো ধরনের তথ্যের জন্য। বিপরীতে ভারত এখন ও গোয়েন্দা তথ্যের জন্য বিভিন্ন দেশের ওপর অনেক নির্ভরশীল। তাই ভারত যে স্বপ্ন দেখছে চীনের সাথে পাল্লা দেওয়ার তা সময়োপযোগী নয়।কারণ চীন পাল্লা দিচ্ছে বিশ্বমোড়ল আমেরিকার সাথে।সেখানে চীনের কাছে ভারত কেবল আঞ্চলিক শক্তি, বিশ্বশক্তি তো নয়ই এমনকি আঞ্চলিক পরাশক্তি ও নয়।তাই ভারতের উচিত নিজের দিকে নজর দিয়ে ধীর পায়ে এগোনো।যা চীন ৪ দশক ধরে করে আসছে।না হলে ভবিষ্যতে হয়ত ভারতকে এর  জন্য বড় রকমের বিপদে পড়তে হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

| Designed by Colorlib